বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
আমজাদ হোসেন॥ ৪০ লাখ টাকা আত্মসাত সহ নানান অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত বাউফল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসের সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক রফিকুল ইসলামকে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। সোমবারের মধ্যে তাকে রাঙ্গাবালি উপজেলার ভূমি অফিসের সহকারি হিসেবে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সোমবারই রফিকুল ইসলাম রাঙ্গাবালি উপজেলায় যোগদান করেন।
এর আগে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত সহ নানান অভিযোগের তদন্ত করার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরি। তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং অপর দুই সদস্য হলেন বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাউফলের সহকারি কমিশনার (ভূমি) গত ১০ ফেব্রæয়ারি উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ভূমি অফিসের ক্যাশ বইতে ২০১৫ সাল থেকে পরিদর্শনের দিন পর্যন্ত ৬১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮২১ টাকা আদায় দেখতে পান।
কিন্তু আদায়কৃত ওই টাকা থেকে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক রফিকুল ইসলাম ৪৯ টি ভুয়া চালানের মাধ্যমে জমা দেখিয়ে ৩৮ লাখ ৬৮ হাজার ৬৫৪ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে তিনি প্রমাণ পান। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ভূমি প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। পরে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে বিষয়টি তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়।
বিষয়টি প্রসঙ্গে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,‘আমি ১৯ এপ্রিল ২০১৫ সাল থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সাল পর্যন্ত সাসপেন্ডেড (সাময়িক ভাবে চাকরিচ্যুত) ছিলাম। এই সময়ের মধ্যে কোন ধরণের আর্থিক লেনদেন করিনি। তাই আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়।’
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রফিকুল ইসলামের কয়েকজন সহকর্মী বলেন, সাসপেন্ড থাকা অবস্থায় রফিকুল ইসলাম নিয়মিত অফিস করেছেন। জনবল সংকটের সুযোগ নিয়ে তিনি অফিসের সকল কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এখন দায় এড়ানোর জন্য তিনি সাসপেন্ডের দোহাই দিচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে বাউফল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আনিচুর রহমান বলেন, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত চলমান রয়েছে। সরকারি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply